
বিনোদন ডেক্স রিপোর্ট: এ বার লরেন্স বিশ্নোইয়ের নিশানায় কি কপিল? বৃহস্পতিবারের এই ঘটনার পর একটি অডিয়ো ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে, সেখানেই চরম পর্যায়ের হুমকি দেওয়া হয়েছে। কপিল শর্মার কানাডার ক্যাফেতে হামলা, চলল ২৫ রাউন্ড গুলি। ভারতীয় সময় অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার রাতে ওই ওই ঘটনার জেরে যদিও কোনও প্রাণহানি হয়নি বলেই খবর। তবে বিষয়টি নিয়ে চিন্তা বাড়ল ‘কপিল শর্মা শো’-এর সঞ্চালক কপিলের। কারণ, অভিযোগ অনুযায়ী, ওই হামলা চালিয়েছে লরেন্স বিশ্নোইয়ের লোকজন। এর এক মাস আগে কপিলের ওই ‘ক্যাপস ক্যাফে’তেই গুলিচালনার ঘটনা ঘটে। সে বার অভিযোগের আঙুল উঠেছিল খলিস্তানি জঙ্গি সংগনের দিকে। পর পর ঘটনার পুনরাবৃত্তিতে আতঙ্কে কপিল। এ বারের হামলা আরও জোরদার ছিল বলে খবর। ঘটনার দায় স্বীকার করে নিয়েছে গোল্ডি ঢিঁলো ও লরেন্স বিশ্নোই। যদিও তারা এখানেই থামবে না বলে জানিয়েছে। তাদের পরবর্তী হামলার স্থল হতে চলেছে মুম্বই। এত দিন লরেন্স বিশ্নোই সলমন খানকে ক্রমাগত মৃত্যু-হুমকি দিয়ে এসেছে। এ বার তার নিশানায় চলে এলেন কপিল। বৃহস্পতিবারের এই ঘটনার পরে একটি অডিয়ো ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে, সেখানেই চরম পর্যায়ের হুমকি দেওয়া হয়েছে।
ওই অডিয়ো ক্লিপে যার গলা শোনা যাচ্ছে, সে আসলে বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সদস্য হ্যারি বক্সার বলে দাবি। বলিউডের সমস্ত পরিচালক, প্রযোজক ও শিল্পীদের উদ্দেশে রীতিমতো সতর্কবার্তা দিয়ে সে বলে, “যদি কেউ সালমান খানের সঙ্গে কাজ করেন, তবে তিনি নিজেই নিজের মৃত্যুর কারণ হবেন। বড়-ছোট সব প্রযোজকদের বলছি, সালমানকে নিয়ে কাজ করলে সরাসরি তাঁর বুকে গুলিও চালানো হতে পারে। যদি এর পরেও না শোনেন তা হলে মুম্বইয়ের রাস্তায় একে-৪৭ চলবে।”
দিনকয়েক আগে কপিল শর্মা তাঁর নেটফ্লিক্সের তৃতীয় সিজ়নের প্রথম পর্বে সলমনকে অতিথি হিসেবে ডেকেছিলেন। তার পরেই কপিল শর্মার ক্যাফেতে গুলি-কাণ্ড। সেই প্রসঙ্গে ওই গ্যাংস্টার বলে, “নেটফ্লিক্সের শো-তে সলমনকে আমন্ত্রণের মাসুল গুনতে হচ্ছে কপিল শর্মাকে। সে কারণেই তাঁর ক্যাফেতে বার বার গুলি চালানো হচ্ছে।”
বিষ্ণোইদের সঙ্গে সলমনের শত্রুতা নতুন নয়। ১৯৯৮ সালে রাজস্থানে কৃষ্ণসার হরিণ হত্যাকাণ্ডে নাম জড়ায় ভাইজানের। সেই সময় থেকে বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সঙ্গে ‘শত্রুতা’ তাঁর। তার পর থেকেই লাগাতার হুমকি পান বলি অভিনেতা। গত কয়েক বছর সেটা কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে। বিশ্নোইদের হুমকি বার্তা পেয়ে নিজের নিরাপত্তা কয়েকশো গুণ বাড়িয়ে দিয়েছেন ভাইজান।